Advertisement

অধিনায়ক হিসেবে টের স্টেগানকেই বহাল রাখলো বার্সেলোনা

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

অধিনায়ক হিসেবে টের স্টেগানকেই বহাল রাখলো বার্সেলোনা
অধিনায়ক হিসেবে টের স্টেগানকেই বহাল রাখলো বার্সেলোনা

চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছেন মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান- এ অভিযোগে জার্মান এই গোলরক্ষকের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে বার্সেলোনা। এমনকি একদিন আগে তাকে অধিনায়ক থেকে সরিয়ে দেয়ারও ঘোষণা দেয় তারা। কিন্তু বিরোধ সত্ত্বেও শুক্রবার আবার টের স্টেগানকেই অধিনায়কের পদে বহাল রাখার ঘোষণা দিলো বার্সেলোনা।

বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টের স্টেগেনকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা জানায় স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাবটি। মূলতঃ লা-লিগা কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য না দেওয়ার কারণে বার্সার সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যান এই গোলরক্ষক।

হাঁটুর ইনজুরিতে গত মৌসুমে বেশিরভাগ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন টের স্টেগেন। গত মাসের শেষ দিকে পিঠে অস্ত্রোপচার করান তিনি। এই অস্ত্রোপচারের কারণে তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে।

লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোন খেলোয়াড় চার মাসের বেশি মাঠের বাইরে থাকে, তাহলে বার্ষিক বেতনের ৮০ শতাংশ বাদ দিয়ে নিয়ম মেনে নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধন করা যাবে।

কিন্তু বার্সেলোনার সাথে বিরোধের কারণে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন তথ্য লা লিগাকে দিতে চাননি টের স্টেগেন। এ কারণেই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বার্সেলোনা।

বৃহস্পতিবার দেয়া বিবৃতিতে বার্সেলোনা জানায়, ‘মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় এবং বিষয়টি পুরোপুরি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্লাব, ক্রীড়া পরিচালক ও কোচিং স্টাফের সাথে পারস্পরিক সম্মতিতে সাময়িকভাবে দলের প্রথম অধিনায়কে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব।’

তবে একদিন পরই দুই পক্ষের সঙ্গে সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে উল্লেখ করে বার্সেলোনা আবারও বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘ক্লাব ঘোষণা করছে যে আমাদের খেলোয়াড় মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান তার অস্ত্রোপচার সম্পর্কিত মেডিকেল রিপোর্ট লা লিগাকে পাঠানোর জন্য ক্লাবের প্রয়োজনীয় অনুমোদনে স্বাক্ষর করেছেন। এর ফলে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মামলাটি বন্ধ করা হয়েছে এবং তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আবারও দলের অধিনায়ক পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’

Lading . . .