Advertisement

ইউনাইটেডের লজ্জার দিন, চতুর্থ স্তরের দলের কাছে হেরেই বিদায়

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

এরিক টেন হাগ গেলেও দুঃসময় কাটাতে পারছে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এমনকি নতুন কোচ রুবেন অ্যামোরিমেরও শেষের শুরু হয়েছে কি না সেই আলোচনাও উঠেছে। তার শিষ্যরা চতুর্থ স্তরের দল গ্রিমসবি টাউন ফুটবল ক্লাবের কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছে লিগ কাপ থেকে। নির্ধারিত সময়ে ইউনাইটেড-গ্রিমসবির ম্যাচটি ২-২ সমতায় ছিল। এরপর ম্যারাথন পেনাল্টিতে ১২-১১ ব্যবধানে হারের তিক্ত স্বাদ পেল ইউনাইটেড।

প্রতিপক্ষ গ্রিমসবির মাঠ ব্লান্ডেল পার্কে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল সাবেক ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধে গোল দুটি শোধ করে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু তাদের ব্যাকফুটে দশা চতুর্থ স্তরের দলের বিপক্ষেও কাটাতে পারল না। ২২ ও ৩০ মিনিটে গ্রিমসবিকে দ্বিগুণ লিড এনে দেন চার্লস ভারনাম ও টাইরেল ওয়ারেন। দ্বিতীয়ার্ধে নতুন সাইনিং ব্রায়ান এমবিউমো ও হ্যারি ম্যাগুইরে গোল করে সেই লজ্জা কাটান।

তবে পেনাল্টি শ্যুটআউটে আর তার অবশিষ্ট রইলো না। অবশ্য প্রথম পাঁচ শটে ৪-৪ সমতা ছিল দুই দলের। এরপর সাডেন ডেথের ১১ নম্বর শটে দুই গোলরক্ষকই গোল করে ১০-১০ সমতা রাখেন। শেষ সময়টা কেবলই হতাশার। ১২-১১ ব্যবধানে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ডেই ইউনাইটেড কারাবাও কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত করল। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের ১৫তম হওয়া অ্যামোরিমের দলটি লিগ কাপে ১১ বছর পর খেলতে নেমেছিল। এর আগে শেষবার ২০১৪ লিগ কাপেও দ্বিতীয় রাউন্ডে বিদায় নিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

Manchester United tnie ceny. Zaskakująca strategia - Goal.pl

ওই সময়ের চেয়েও বর্তমানে বাজে অবস্থানে অ্যামোরিমের দল। ১১ বছর আগে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ইউনাইটেডের বিদায় করিয়েছিল তৃতীয় স্তরের দল এমকে ডনসে। এবার চতুর্থ স্তরের এক ক্লাব একই স্বাদ দিলো। যা কার্যত অ্যামোরিমের অ্যানফিল্ডে কোচ হয়ে থাকা কঠিন করে তুলল। কারণ গত নভেম্বর থেকে দায়িত্ব নিয়ে ৪৪ ম্যাচে জিতেছেন মাত্র ১৬টিতে।

ম্যাচজুড়ে ৭১ শতাংশ বল দখল রেখেও হারের পর ইউনাইটেড কোচ জানান, ‘আমরা যেভাবে ম্যাচটা শুরু করেছিলাম, সেই অবস্থায় আর থাকতে পারিনি। এজন্য ভক্তদের কাছে আমি দুঃখিত, তবে আমার শিষ্যদের যে আজ প্রবল প্রচেষ্টা ছিল সেটি জোর গলায় বলতে পারি। আমি মনে করি সেরা দলটাই ম্যাচ জিতে, শেষ পর্যন্ত মাঠে যে দলটা লড়াই করতে সক্ষম। যখন চতুর্থ স্তরের দলের বিপক্ষে হারবেন তার দায় কেবল গোলরক্ষকের নয়, সবার।’

এএইচএস

Lading . . .