প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে। এই গ্রুপের স্বাগতিক কুয়েতের ক্লাব কুয়েত এসসি। কিংসের অন্য দুই প্রতিপক্ষ ওমানের আল সীব এবং লেবাননের আল আনসার এফসি।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সদর দপ্তর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এই ড্র অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সাবেক কিরগিজ খেলোয়াড় ভ্যালেরি কাশুব। তিনি ২০০৭ সালে এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন দর্দেই এফসি’র হয়ে।
বাংলাদেশ এএফসি কম্পিটিশনে পশ্চিম জোনে পড়েছে। চ্যালেঞ্জ লিগে পশ্চিম জোনের তিন গ্রুপের ড্র আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে স্বাগতিক ক্লাব কোনো গ্রুপে সেটা নির্ধারণ হয়েছে। প্রথমে ভুটানের পারো এফসি উঠায় ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে এরপর পর্যায়ক্রমে ‘বি’ গ্রুপে কুয়েতের কুয়েত এফসি এবং কিরগিজস্তানের মুরাস ইউনাইটেড ‘সি’ গ্রুপে।
ভূটানের পারো এবং কুয়েতের কুয়েত এফসি তৃতীয় সিডিং থাকায় তারা ‘এ’ এবং ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল হয়েছে। ঐ সিডে তৃতীয় দল ছিল কিরগিজস্তানের আরেক ক্লাব আবদিস আতা। মুরাস ইউনাইটেড আগেই ‘সি’ গ্রুপে পড়ায় কিরগিজ ক্লাব আবদিস ‘এ’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয়েছে। একই গ্রুপে এক দেশের দুই ক্লাব না রাখার নীতি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের।
শেষ পটের সিডিংয়ে থাকা কিরগিজ ক্লাব মুরাস স্বাগতিক হিসেবে আগেই ‘সি’ গ্রুপের চতুর্থ হিসেবে ছিল। ফলে বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস ছিল কুয়েতের আল আরাবির সঙ্গে। ভ্যালেরি দুই দলের মধ্যে বসুন্ধরা কিংস উঠানোয় বি গ্রুপের চতুর্থ দল হয় বাংলাদেশের বসুন্ধরা। আর কুয়েতের আল আরাবি ‘সি’ গ্রুপের তৃতীয় দল।
২৫ অক্টোবর থেকে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূল পর্ব শুরু হবে। গত মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের খেলা পড়েছিল ভুটানে। ঐবার কিংস পরের রাউন্ড তো দূরের কথা কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি। এবার আর্জেন্টাইন কোচ গোমেজের অধীনে পরের পর্বে যাওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের ক্লাবের।
বসুন্ধরা কিংস গত মৌসুমে চ্যালেঞ্জ লিগের মূল পর্বে সরাসরি খেলেছিল। এবার প্লে অফ খেলে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিতে হয়েছে। সিরিয়ান ক্লাব কারমাহকে কাতারের দোহায় ১-০ গোলে হারিয়ে কিংস মূল পর্ব খেলছে। বাংলাদেশের আরেক ক্লাব ঢাকা আবাহনী ঢাকায় প্লে অফে কিরগিজস্তানের মুরাস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ০-২ গোলে হেরেছিল।
এফআই