Advertisement

দুর্গাপূজা ঘিরে মৌচাক-তালতলা মার্কেটে কেনাকাটার ভিড়

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দুর্গাপূজা ঘিরে মৌচাক-তালতলা মার্কেটে কেনাকাটার ভিড়
দুর্গাপূজা ঘিরে মৌচাক-তালতলা মার্কেটে কেনাকাটার ভিড়

বছর ঘুরে ফিরে এসেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। উৎসব উপলক্ষে শুক্র-শনিবার সপ্তাহের ছুটির দুদিন বিপণি-বিতানগুলো কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিক্রেতাদের দাবি, কেনাকাটা অন্যান্য বছরের মতো জমেনি। ক্রেতা বাড়লেও বিক্রির পরিমাণ কম।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ও শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাক এলাকার কয়েকটি মার্কেট ও খিলগাঁও তালতলা মার্কেট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

মৌচাক মার্কেটে দেখা যায়, মনের মতো পোশাক কিনতে দোকানে দোকানে ছুটছেন ক্রেতারা। কয়েক দিন ধরে পোশাকের দোকানগুলোয় ভিড় বেড়েছে। আগামী কয়েকদিন পুরোটা সময় কেনাকাটার এমন ধুম চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

বরাবরের মতো এবারও পূজার বাজারে ছেলেদের পায়জামা-পাঞ্জাবি ও স্যান্ডেল, শার্ট-প্যান্ট; মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের থ্রি-পিস, শাড়ি এবং বাচ্চাদের রকমারি পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে ক্রেতা টানতে বিপণি-বিতানের দোকানগুলোয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছে।

দুর্গাপূজা ঘিরে মৌচাক-তালতলা মার্কেটে কেনাকাটার ভিড়

দুর্গাপূজা ঘিরে মৌচাক-তালতলা মার্কেটে কেনাকাটার ভিড়

মৌচাক ফরচুন মার্কেটের ড্রেস কর্ণারের কর্ণধার এনামুল হক বলেন, ক্রেতা বাড়লেও বিক্রি খুব বেশি না। তবে আগামী শুক্র-শনিবার ভালো বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

এদিকে পূজার মার্কেটে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নয়, অন্যান্য ধর্মের ক্রেতাদেরও উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। মনিরা জামান নামের একজন ক্রেতা বলেন, পূজার কারণে বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হচ্ছে এক সপ্তাহের বেশি। এ কারণে গ্রামে যাবো। তাই কেনাকাটা করছি।

ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, মৌচাক মার্কেট আনারকলি ও তালতলার বিপণি-বিতান এবং দোকানগুলোয় ভিড় সবচেয়ে বেশি। মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের থ্রি-পিস ১ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। একই দামে পাওয়া যাচ্ছে শাড়িও।

গত বছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম বাড়েনি বলে জানান ক্রেতাদের।

আরও পড়ুন:
এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার: শেষ দিনে উড়োজাহাজ টিকিট, রিসোর্টে বড় ছাড়

সুমি ফ্যাশনের ছুমাইয়া সুমি বলেন, বিক্রি যা হচ্ছে, সেটা কম দামের পোশাক। অন্যান্য বছর দামি পোশাকের চাহিদা বেশি ছিল। এবার মানুষের হাতে টাকা নেই। তার মধ্যে পূজা পড়েছে মাসের শেষে। যে কারণে বিক্রি কম।

ছেলেদের পায়জামা-পাঞ্জাবি ৮০০ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন মানের শার্ট-প্যান্ট নানা দামে বিক্রি হচ্ছে।

তালতলা ছেলেদের পোশাক বিক্রেতা ও স্মার্ট ফ্যাশনের কর্মী সানি বলেন, ছেলেদের কেনাকাটা শেষ সময়ে জমে। আশা করছি আগামী শুক্র-শনিবার বিক্রি ভালো হবে।

এদিকে এ বছর ক্রেতা টানতে বিপণি-বিতান ও দোকানগুলোতে ছাড় দেওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে।

বিক্রেতা নরেশ দাস বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগে এতটা ছাড় দিয়ে পোশাক বিক্রির ঘটনা দেখা যায়নি। তবে এবার প্রায় প্রতিটি দোকানই দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগাম ঘোষণা দিয়ে ছাড়ে পোশাক বিক্রি করছেন। যে কারণে বাধ্য হয়ে আমরাও কিছুটা ছাড় দিচ্ছি।

দুর্গাপূজা ঘিরে মৌচাক-তালতলা মার্কেটে কেনাকাটার ভিড়

দুর্গাপূজা ঘিরে মৌচাক-তালতলা মার্কেটে কেনাকাটার ভিড়

যে কারণে যাদের এক সেট করে পোশাক কেনার পরিকল্পনা ছিল, তারা ছাড়ের সুযোগ নিয়ে একাধিক সেট পোশাক কিনছেন।

কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুর্গাপূজার বাজার কেমন হয়, এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা ছিল। তাই অনেকে ভয়ে ভয়ে পূজার বাজারে নতুন কাপড় এনে পসরা সাজিয়ে রেখেছিলেন। তবে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা দূর করে ক্রেতারা ঠিকই দোকানে ভিড় করছেন। পূজার দিন যতই এগিয়ে আসছে, বিক্রি ততই বাড়ছে।

কথা হয় ক্রেতা সুমি রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, একটু আগেভাবে কিনছি। কারণ দর্জির কাছে জামা তৈরি করতে সময় লাগবে।

আরও একাধিক ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পোশাকের পাশাপাশি জুতা, জুয়েলারি ও প্রসাধনী সামগ্রীও বিক্রি হচ্ছে। মানুষ থান কাপড়ও কিনছেন।

এদিকে দোকান ঘুরে কেনাকাটার পাশাপাশি অনেকে অনলাইনেও কেনাকাটা করছেন বলে জানান অনেক ক্রেতা।

Lading . . .